কপিরাইট মূলত একটি আইন যা লেখা, কন্টেন্ট, ছবি, সফটওয়্যার বা যে কোন জিনিস এর লেখক, প্রকাশক বা প্রধান মালিকের অধিকার সংরক্ষণ করে যা সেই প্রকাশকের বা মালিকের অনুমতি ছাড়া যে কেউ ব্যক্তিগত কাজে বা অন্য কোন কাজে সরাসরি কপি করে ব্যবহার করলে তা কপিরাইট আইন লঙ্ঘন হবে এবং অপরাধী বলে বিবেচিত হবে।
পৃথিবীর দেশে দেশে সৃজনশীল সৃষ্টিকর্মের কপি বা পুনরুৎপাদন, অবৈধ ব্যবহার ইত্যাদি বন্ধের জন্য যে আইনের বিধান রাখা হয়েছে, তাকে কপিরাইট আইন বলে।
মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে কপি করা বা নকল করা সহজ হয়েছে বলে, লেখকদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য ১৬৬২ সালে যুক্তরাজ্যে সর্বপ্রথম কপিরাইট আইন চালু হয়। এ আইনে বিভিন্ন বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদ বা মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের আওতায় চলে আসে।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ সকল সৃজনশীল বা বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদ ব্যবহার করার স্বাধীনতা থাকে। বিশেষ করে একাডেমিক বা লেখাপড়ার কাজে সৃজনশীল কাজ কপি করা যায়। অর্থাৎ, লেখাপড়ার কাজে কোন বইয়ের ফটোকপি করলে তাতে কপিরাইট আইন ভঙ্গ হয় না। এরকম ব্যবহারকে ফেয়ার ইউজ বলে।
১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে কপিরাইট আইন তৈরি হয়। তবে তথ্য প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের অনেক পরিবর্তনের ফলে কপিরাইট ধারণাও পাল্টে গেছে।এ কারণে পরবর্তীতে ২০০০ সালে নতুন একটি কপিরাইট আইন তৈরি করা হয়। এটি ২০০০ সালের ১৮ জুলাই পাস হয় এবং বাংলাদেশ গেজেটে পাস হয়। ২০০৫ সালে এটি পুনরায় সংশোধন করা হয়।
বাংলাদেশে এই আইনে সাহিত্যকর্ম, চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, শিল্পকর্ম ও সাউন্ড রেকর্ডিং কপিরাইট আইনের অন্তর্ভুক্ত বিষয়।বাংলাদেশের কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের শাস্তি সম্পর্কে বলা আছে চলচ্চিত্র বাদে চারটি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চার বছরের জেল ও দু লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান আছে। আর চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে শাস্তির পরিমাণ পাঁচ বছরের জেল।”